May 1, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

এবার ঈশ্বরের স্থান নিতে চীনের ফরমান, যিশুর-ক্রশ ভেঙে লাগাও জিং-মাও এর ছবি 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

সংখ্যালঘু উইঘুরের মুসলিমদের পর এবার খ্রিস্টানদের ওপর নেমে এলো চীন সরকারের খড়্গহস্ত। আবারো সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। সে দেশের গির্জাগুলোকে আজব নির্দেশ দিয়েছে চীন সরকার। চীন সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশের গির্জার ক্রশগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি। শুধু গির্জা নয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িতে যিশুর কোনো ছবি রাখতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশ জারি করেছেন। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন জানিয়েছে, এরই মধ্যে ওই সব প্রদেশের গির্জাগুলোতে রাখা ক্রশ নামিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, এই প্রদেশ ছাড়াও শাংসি প্রদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের ওপর এই রাষ্ট্রীয় আঘাতের নিন্দা করেছে চীনেরই একাংশ মানুষ।

বিশেষত খ্রিস্টান ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের দখলদারি মনোভাব নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। শনিবার ও রবিবার আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্রশ ভাঙতে এলে একাধিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে বলপূর্বক তা ভেঙে ফেলা হয়। ঝেজিয়াং প্রদেশে ইয়ঙ্গজিয়া এলাকায় ৭ জুলাই একই ঘটনা ঘটে।

প্রায় একশজন প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মী গির্জা থেকে ক্রশ নামিয়ে ফেলে সেটিকে ধ্বংস্ব করেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব দরিদ্র বাসিন্দারা সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক কল্যাণ বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন, তারা যিশুর আরাধনা করতে পারবেন না।

তার বদলে মাও সেতুং ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে। একই রকম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। জানা গেছে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে কমিউনিস্ট সরকার।

Related Posts

Leave a Reply