May 2, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

ফেসবুকে তথ্য ফাঁসের শাস্তি কী?

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মোট কর্মীর সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি। সব কর্মীর সঙ্গেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মপরিকল্পনা ভাগাভাগি করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। একটা প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে, কীভাবে দিনের পর দিন ফেসবুকের সব তথ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গোপন থাকে?

এ ক্ষেত্রে জাকারবার্গের নীতি একটাই যে কর্মী সংবাদমাধ্যমে ফেসবুকের তথ্য ফাঁস করেন তাঁকে প্রথমে খুঁজে বের করেন এবং তারপর সরাসরি বরখাস্ত করেন। আর এ কারণেই এই বিশাল কর্মীবাহিনীর সঙ্গে সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বের কোনো কথাই সেই কক্ষের বাইরে যায় না। অনলাইন সংবাদমাধ্যম রিকোডের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এমন সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আগে থেকেই প্রচলিত ছিল, কিন্তু জাকারবার্গ একে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন যেখানে তিনি কর্মচারীদের সামনে নতুন প্রকল্প এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত মতাদর্শও তুলে ধরেন। এর মধ্যে খুব সামান্য তথ্যই সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছায়।

এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে কঠিন নিয়মের মধ্যে আটকে রাখতে জাকারবার্গকে কিছু কৌশল তো অবলম্বন করতেই হয়। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে যেমন ফেসবুকের তৎকালীন ডিজিটাল সহকারী ‘এম’ সম্পর্কে একটি তথ্য ফাঁস হয় এবং জাকারবার্গ তখন বলেছিলেন দায়ী ব্যক্তিকে তিনি খুঁজে বের করবেন এবং বহিষ্কার করবেন। তা তিনি করেছেনও।

পরের সপ্তাহেই জাকারবার্গ পুরো প্রতিষ্ঠানে তাঁর পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন। কর্মীদের কাছে ফেসবুক একটা পরিবারের মতো। আর এই পরিবার থেকে বহিষ্কার সদস্যদের কাছে যেমন লজ্জার, তেমনই দুঃখের। সাধারণত কেউই তা চায় না।

Related Posts

Leave a Reply