April 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular খেলা

বন্দুকের নিশানায় প্রাণ যায় যায় সৌরভ গাঙ্গুলির, তারপর যা ঘটল…

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

সামনে অপেক্ষা করছে সাক্ষাৎ মৃত্যু। থরথর করে কাঁপছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। মনে মনে ইষ্টদেবতার নাম জপতেও বুঝি শুরু করে দিয়েছেন বাংলার ছেলেটি। হঠাৎই দীঘল চেহারার এক মহিলা কোথা থেকে সাক্ষাৎ দেবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন সেখানে।

সেই মহিলার জন্যই প্রাণ নিয়ে কোনওরকমে বেঁচে ফেরেন ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক। ঘটনাটা আজকের নয়। ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছে ভারতীয় দল।

সেই সফরেই মহারাজের ব্যাট থেকে এসেছিল প্রথম শতরান। সেবারের ইংল্যান্ড সফর ইতিহাস হয়ে থেকে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। ওই ইংল্যান্ড সফর সৌরভের জায়গা চিরদিনের জন্য পাকা করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেটে।

সেই ইংল্যান্ড সফরেই সাক্ষাৎ মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছিলেন সৌরভ। একটি বইতে সৌরভ সেই সফরের অভিজ্ঞতা লিখেছেন। দিয়েছেন ভয়াবহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ। সৌরভ ও নভজ্যোৎ সিংহ সিধু টিউব রেলে পিনারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ট্রেনেই ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।

স্মৃতিচারণ করে সৌরভ বলছেন, ‘টিউবে অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের একটা গ্রুপ উঠেছিল। ওরা মদ্যপান করছিল। আমাদের উলটোদিকেই ওরা বসেছিল। ওদের মধ্যে একজন আমাদের ফলো করছিল। ছেলেটির হাতে ছিল বিয়ারের বোতল।’ পরিস্থিতি অন্যরকম দেখে সিধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সৌরভ। তখনই উলটোদিক থেকে সেই ছেলেটা উঠে এসে সৌরভকে জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি ওকে কী বললে?’ ওই গ্রুপেরই আরও কয়েকজন এগিয়ে যায় সৌরভদের দিকে।

ঝামেলায় ঘৃতাহুতি দিতে শুরু করে তারা। সিধু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। প্রচণ্ড রেগে গিয়ে সিধু দু-চার ঘা দিয়েও দেন। যে ছেলেটা গোড়ায় সৌরভের দিকে তেড়ে এসেছিল, তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন মহারাজ। ছেলেটাকে ধাক্কা মারাই কাল হয়। সৌরভ দেখেন সেই ছেলেটা তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে রয়েছে। প্রমাদ গুনতে শুরু করেন ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক।

সৌরভ ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন, আর বেঁচে ফেরার উপায় নেই। বন্দুকের ট্রিগারে চাপ পড়লেই সব শেষ। ঠিক সেই সময়ে এক মহিলা ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এত ক্ষণ ধরে গোটা ঘটনাটা  দেখেছেন তিনি। ছেলেটি বন্দুক বের করতেই সেই মহিলা এগিয়ে আসেন।

ছেলেটিকে ধাক্কা মেরে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন তিনি।ছেলেটিও আর তাঁর সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায়নি। কারণ মহিলাটি যেমন দীর্ঘাঙ্গী, তেমনই বলশালী। ওই মহিলার জন্যই কোনওরকমে সেই বার বেঁচে যান সৌরভ। ছেলেটি যদি বন্দুক চালিয়ে দিত, তাহলে কী যে হতো…।

Related Posts

Leave a Reply