April 29, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ঘরোয়া উপায়েই ইউরিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে জেনে নিন, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু সহজ উপায় সম্পর্কে।
১) পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কমান পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্য ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন – বিভিন্ন ধরণের মাংস, সামুদ্রিক খাবার এবং সবজি, যা হজম হওয়ার সাথে সাথে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদনের ফলে, hyperuricemia হতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্যের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করুন। পিউরিন সমৃদ্ধ খাদ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – সার্ডিন, ড্রাই বিনস, গরু এবং শুয়োরের মাংস, টার্কি, মাছ, সেলফিশ, স্ক্যালপস, মটন, মাশরুম, ফুলকপি, অ্যালকোহল প্রভৃতি। একবার খেলে বারবার চাইবেন, মাত্র ১০ মিনিটেই রেঁধে ফেলুন ‘ভাপা পনির’!
২) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন শরীর হাইড্রেট থাকলে, কিডনি থেকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার হবে এবং শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করার অভ্যাস করুন।
৩) চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন শরীরে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম সম্ভাব্য কারণ হল চিনি। ফ্রুক্টোজ হল এক ধরনের সাধারণ চিনি, যা মধু, মিষ্টি, ফল এবং কিছু সবজিতে বর্তমান। এটি পিউরিন মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে, ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া, বিভিন্ন খাদ্য এবং পানীয়তে চিনি যোগ করা, ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে মেটাবলিক সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
৪) স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন মাসেল সেলের তুলনায়, ফ্যাট সেল বেশি মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড প্রস্তুত করে। অতিরিক্ত ওজন, শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করতে কিডনিকে বাধা দিতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। দ্রুত ওজন কমানো, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৫) খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার সাথে সাথে, ব্লাড সুগার এবং ইনসুলিনের মাত্রার ভারসাম্যতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে। যার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
৬) ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরে খুব বেশি ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। প্রয়োজনে একজন পেশাদার পরীক্ষক দ্বারা, ইনসুলিনের মাত্রা পরীক্ষা করে নিন।
৭) মানসিক চাপ কমান মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি, প্রদাহের সম্ভাবনা অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চাপমুক্ত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সহ, যথাযথ খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে।

Related Posts

Leave a Reply